অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের নাগরিকরা অনলাইনেই অস্ট্রেলিয়ার ভিসার আবেদন করতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৬ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথিবাড়িতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। এসময় হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা, বিশেষ করে ঢাকাে আবারও অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম চালু করার জন্য।
সুসান রাইল উল্লেখ করেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে ৬৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশের নাগরিক বসবাস করছেন এবং আরও ১৪ হাজার বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সেখানে অধ্যয়ন করছেন। সাক্ষাৎকালে তারা অন্তর্বর্তীন সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম, নির্বাচন প্রস্তুতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোকপাত করেছিলেন।
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, অস্থিরতা কাটিয়ে দেশটি এক গুরুত্বপূর্ণ ও আশাব্যঞ্জক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনকে শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ইউনুস আরও বলেন যে অনেক বছর পর এবার জনগণ, বিশেষ করে নতুন ভোটাররা, উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে কারিগরিতে ও ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়াতে ২০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সহায়তা দেবে বলেও হাইকমিশনার রাইল উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যেকার বা্ণিজ্য ৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ঘর স্পর্শ করেছে, যা গেল ৫ বছরে গড়ে ১৬.২ শতাংশ হারে বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ও বাংলাদেশের সাথে অংশীদারির উল্লেখও করেছিলেন হাইকমিশনার।
রোহিংগা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া এ পর্যন্ত ৫৫৩.৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন সুসান রাইল। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতি হলে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন শুরু হলে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সাথে থাকবে। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের নতুন দায়িত্বে আসতে পেরে তিনি অত্যন্ত উৎসাহিত এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করেছিলেন।
সাক্ষাৎকালে এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক উইংয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূলে আলমও উপস্থিত ছিলেন।