মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান ও প্রত্যাবাসন অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ১০ হাজার অভিবাসীর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এসব জানান প্রধান অভিবাসন নিয়ন্ত্রক শামান ওয়াহিদ।
এদিকে অভিযানের মধ্যেই অভিবাসী বৈধকরণ প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আরও পড়ুন
গত এক বছরে অবৈধ অভিবাসন রোধে রীতি মতো বিস্ময় ঘটিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। দেশটিতে কর্মরত দশ হাজার অবৈধ অভিবাসীর বায়োমেট্রিক ও তথ্য সংগ্রহসহ প্রবাসীদের অসংখ্য অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ
শুধু তাই নয় ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ নামে এক বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে গত এক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর বাইরেও দেশটিতে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যা মোকাবিলায় ‘ইমিগ্রেশন ওয়াচ’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। অবৈধভাবে মালদ্বীপে বসবাসরতদের তথ্য এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে মালদ্বীপ সরকারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানান প্রবাসীরা। নির্দিষ্ট কোনো দেশ উল্লেখ না করলেও ফেরত পাঠানো এই পাঁচ হাজার অভিবাসীর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
অবশ্য এর মধ্যেই বৈধকরণ প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছ মালদ্বীপ সরকার। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে কর্মরত প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার আহ্বান জানান মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ বলেন, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান না হলে নানা জটিলতায় মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরতে হবে আরও অসংখ্য বাংলাদেশিকে।