পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভে স্থবির রাজধানী ইসলামাবাদ। বিক্ষোভ দমনে পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন থাকবে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রোসহ বিভিন্ন সেবা। এর আগে শুক্রবার ইমরান খানের বোনসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমপক্ষে ৩০ বিক্ষোভকারীকে।
পূর্বঘোষিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে দিনের শুরু থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রাজধানীতে। ইসলামাবাদে ঢোকা ও বের হওয়া আটকাতে রাস্তায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয় বড় বড় সব শিপিং কন্টেইনার।
পাকিস্তানে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভ দমনে রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ও আধা-সামরিক সেনা নামায় প্রশাসন। নিষিদ্ধ করা হয় জনসমাবেশ। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইসলামাবাদের ডি-চকে জড়ো হতে শুরু করেন ইমরান সমর্থকরা।
আরও পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘করাচি থেকে এখানে এসেছি। ইসলামাবাদের আজকের যে চিত্র, তা ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি, ভবিষ্যতেও হয়তো দেখা যাবে না। কেউ এখনও আসেইনি। তাতেই পুরো শহরকে ‘কন্টেইনারবাদ’ বানিয়ে ফেলা হয়েছে, ইসলামাবাদ বলে মনে হচ্ছে না।’
সম্প্রতি দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি জনসমাবেশ করেছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই। এরই ধারাবাহিকতায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরানের মুক্তিসহ কয়েক দফা দাবিতে শুক্রবার ইসলামাবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় সমর্থকরা। শনিবার বিক্ষোভ হবে লাহোরের মিনার ই পাকিস্তানেও।
ইসলামাবাদ ও লাহোরের বিক্ষোভ সামনে রেখে গেল সপ্তাহেই কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে পাকিস্তান সরকার। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইমরানের বোনসহ ৩০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। কয়েক জায়গায় ঘটে সহিংসতার ঘটনাও।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেন, ‘ইসলামাবাদে বিক্ষোভের অনুমতি আমরা দিইনি। পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে এমন আচরণও সভ্য নয়। আগেই বলে দিয়েছি, কেউ আইন ভাঙলে তা সহ্য করা হবে না।
বিক্ষোভ ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডি-ইসলামাবাদ সংযোগ সড়ক। ফাইজাবাদে দুই স্তরে কন্টেইনার ফেলে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন থাকবে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো পরিষেবা এবং ভাড়ায় চালিত বাইকে যাত্রী পরিবহন সেবা।