দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের পদত্যাগ

4e1cc22a2fbbb80dad9fc7bd993ea94d7316fec9238c9aa6

সরকার গঠনের দু’মাসও ক্ষমতায় থাকলেন না ভারতের আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রতিশ্রুত জন লোকপাল বিল বিধান সভায় উত্থাপন করতে না পারায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।

রাজ্যের গভর্নরের অসম্মতি সত্ত্বেও শুক্রবার দুপুরে বিলটি উত্থাপন করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে এএপি।

বিল বিধান সভায় উত্থাপন করতে না পারলেও পদত্যাগ করে কথা রেখেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে আম আদমি পার্টির এ নেতা বলেছিলেন, তিনি লোকপাল বিল উত্থাপন করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন।

শুক্রবার দুপুরে বিধান সভার লোকপাল বিল উত্থাপন আটকে যাওয়ায় কেজরিওয়ালের পদত্যাগ নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলা শুরু করেন। এএপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা না থাকা নিয়ে সন্ধ্যার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন কেজরিওয়াল।

ভারতীয় সময় রাত ৮টা ২৫ মিনিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরপরেই তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জংয়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে গেছেন।

গত ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহারে লোকপাল বিল পাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি মতো এগুচ্ছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যে সরকারে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিরোধিতা সত্ত্বে লোকপাল বিল বিধান সভায় উত্থাপনের ঘোষণা দেয় এএপি।

২৮ আসন পেয়ে কংগ্রেসের সহায়তায় সরকার গঠনকারী এএপির বিল উত্থাপনের বিরোধিতা করেন রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং। তিনি বিধার সভার স্পিকার মীরা এমএস ধীরকে চিঠি লিখে বিলের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি চিঠিতে লিখেন, এ বিলে তার সম্মতি নেই। তার সম্মতি ব্যতিত রাজ্য সরকার বিলটি উত্থাপন করলে সেটি হবে অসাংবিধানিক।

কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকারের ৪৯ দিনের শাসনের পর দিল্লি এখন রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। নির্বাচনের পর ঝুলন্ত পার্লামেন্টে হওয়া থেকে রক্ষা পেলেও এবার সে সুযোগ হারালো দিল্লি বিধানসভা।

লোকপাল বিল উত্থাপন করতে না পারাকে লোকপাল বিলের কাছে কংগ্রেস ও বিজেপির পরাজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস উচিত শিক্ষা দেবেন দিল্লির জনগণ।

তিনি বলেছেন, আমরা যা করতে চেয়েছি তাতে বাধা দিয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি। আমাদের শাসনের ৪৮ দিনের মধ্যে আমরা দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে এনেছিলাম।

কংগ্রেস ও বিজেপি মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স কোম্পানির টাকা খেয়ে লোকপাল বিলের বিরোধিতা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

কেজিরওয়াল বলেন, ‘আমরা মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধে মামলা করেছি যিনি দেশের সরকারকে চালান।

কয়েকদিন আগে কৃত্রিমভাবে গ্যাসের সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগে মুকেশ আম্বানিসহ কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দিল্লি সরকার।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post