মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে পরিচালিত এক ইমিগ্রেশন অভিযানে ৮৪ বাংলাদেশিসহ মোট ২২৫ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন স্থানে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অংশ নেয় ইমিগ্রেশনের গোয়েন্দা দল। মোট ৬৬৪ জনের কাগজপত্র যাচাইয়ের পর দেখা যায়, অনেকেই বৈধ পারমিট ছাড়াই সেখানে কাজ করছেন। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ১৩৩ জন চীনা, ৮৪ জন বাংলাদেশি, এবং ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও নেপালের দুইজন করে নাগরিক।
আরও পড়ুন
আটকদের বয়স ২১ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে। অভিযানে আরও আটক করা হয়েছে প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং মানবসম্পদ কর্মকর্তাসহ দুইজন স্থানীয় নাগরিককেও। সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের বিভিন্ন ধারায় তদন্ত চলছে, যার মধ্যে রয়েছে ৬(১)(সি) ধারা (বৈধ অনুমতি ছাড়া অবস্থান) ও ১৫(১)(সি) ধারা (পাসের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর অবস্থান)।
ইমিগ্রেশন পরিচালক রুসদি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও দুটি বিধান প্রয়োগ করা হচ্ছে—১৯৬৩ সালের রেগুলেশনের ১১(৭)(এ) ধারা (সোশ্যাল ভিজিট পাসের অপব্যবহার) এবং ৩৯(বি) ধারা (পাসের শর্ত লঙ্ঘন)। আটককৃত স্থানীয় দুই নাগরিককে বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৫৬(১)(ডি) ধারায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযান চলাকালে আরও ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের অফিসে হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।