ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে ত্রুটির সম্ভাবনা ঘিরে তৈরি হয় ব্যাপক আলোচনা। এরই প্রেক্ষিতে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) দেশের সব এয়ারলাইন্সকে বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাদের বহরে থাকা বোয়িং ৭৮৭ এবং বোয়িং ৭৩৭ মডেলের সব বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে কোনো ধরনের সমস্যা পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ডিজিসিএ’র নির্দেশের আগেই, ১২ জুলাই থেকেই তারা স্বেচ্ছায় এসব বিমান পরীক্ষা শুরু করে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, “পরীক্ষায় বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচের লকিং সিস্টেমে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই শহরের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রুসহ মোট ২৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে, যাদের মধ্যে মাত্র একজন ব্রিটিশ নাগরিক বেঁচে যান।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার তদন্তে ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও বিশেষজ্ঞ দল অংশ নেয়। প্রথম ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয় পরদিন, আর দ্বিতীয়টি পাওয়া যায় ১৬ জুন, ধ্বংসস্তূপ থেকে। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে ককপিটের রেকর্ড অনুযায়ী বোঝা যায়, পাইলটদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অস্পষ্ট সমন্বয়ের ইঙ্গিত ছিল। একজনকে বলতে শোনা যায়, “তুমি কেন বন্ধ করলে?”, আরেকজন জবাব দেন, “আমি কিছু করিনি।” এ থেকে তদন্তকারীরা সম্ভাব্য যান্ত্রিক ত্রুটি বা মানবিক ভুল উভয় দিকই বিবেচনায় নিচ্ছেন।