পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ‘অনার কিলিং’ বা সম্মান রক্ষার নামে এক যুগলকে গুলি করে হত্যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে ওই যুগলকে নির্মমভাবে হত্যা করতে দেখা যায়। পুলিশ জানায়, ঈদুল আজহার কয়েক দিন আগে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও ভিডিও অনলাইনে ছড়ানোর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
🚨 Pakistan: Two innocent lives taken in Balochistan honor killing over a love marriage. Demand exemplary punishment for these perpetrators. #StopHonorKillings pic.twitter.com/pVyRnuLYu8
— Khaleej Mag (@KhaleejMag) July 20, 2025
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি এই ঘটনাকে সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদার ঘোরতর অবমাননা বলে মন্তব্য করেন এবং তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘পুলিশকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, কারণ কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এবং কারও হাতে আইন তুলে নেওয়ার অধিকার নেই।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার স্থান নির্ধারণ করে দোষীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হতবিহ্বল অনেকেই ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত যুগল ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন, যা পরিবার বা সমাজের সম্মানের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়ে ‘অনার কিলিং’-এর শিকার হন। পাকিস্তানে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নারীর স্বাধীনতা বিরোধী মানসিকতা এবং আইনের দুর্বল প্রয়োগ। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সামাজিক সচেতনতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া এ বর্বরতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।