ভারতের কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন নিলয় সাহা (১৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। তিনি শরীয়তপুর জেলার পালং থানার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা। ক্যানসার চিকিৎসার জন্য তিনি ঠাকুরপুকুরের সরোজ গুপ্ত ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, নিলয় বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসায় এক সপ্তাহ আগে ভারতের হুগলি জেলার ব্যান্ডেলের কেওটা নবপল্লীতে বড় বোনের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকেই নিয়মিত হাসপাতালে যাতায়াত করছিলেন তিনি।
গত রবিবার স্থানীয় গোপীনাথপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুই বোনের সঙ্গে পুজো দিতে যান নিলয়। পুজো শেষে তিনি বাড়ির বাইরে বের হন, তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে পরিবার গভীর উদ্বেগে রয়েছে।
আরও পড়ুন
নিলয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়, তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ার পর বাম পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি ক্রাচের সাহায্যে চলাফেরা করতেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার কেমোথেরাপি চলছিল। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পুনরায় ভারতে আসেন।
তার খোঁজে ধনেখালির খালার বাড়ি ও বনগাঁওয়ের মামার বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হলেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যান্ডেল জিআরপি এবং চুঁচুড়া থানায় ইতোমধ্যে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
নিলয়ের দুলাভাই শংকর নাগ জানান, “চিকিৎসার জন্য দেশে ফেরার পর আবার ২ জুলাই ভারতে ফিরে আসে নিলয়। আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পর হঠাৎ বেরিয়ে গেলে আর ফেরেনি। আমরা প্রশাসনের সহায়তা নিয়েছি, তারা খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চয়তা আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন।