পটনার জয় প্রকাশ নারায়ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের দিল্লি থেকে আসা একটি ফ্লাইট (6E 2482)। মঙ্গলবার রাতে অবতরণের সময় বিমানটি নির্ধারিত টাচডাউন পয়েন্টের আগে রানওয়েতে নামায়, যা দ্রুতই পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে।
বিমানটি মাটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বুঝতে পারেন, অবশিষ্ট রানওয়ে হয়তো বিমানটিকে নিরাপদভাবে থামানোর জন্য যথেষ্ট নয়। সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তিনি বিমানটিকে আবার আকাশে উড়িয়ে নিয়ে যান। পরে দুই থেকে তিনবার আকাশে চক্কর দেওয়ার পর, রাত ৯টার দিকে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করে। ফ্লাইটে থাকা ১৭৩ জন যাত্রী সবাই নিরাপদ ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পটনা বিমানবন্দর তার ছোট রানওয়ের কারণে পাইলটদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। উচ্চগতির বিমানের নিরাপদ অবতরণে সমস্যা হয় প্রায়ই। ফলে রানওয়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আশপাশের সরকারি জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
এছাড়াও বিমানবন্দরের নিকটে অবস্থিত সেক্রেটারিয়েট এলাকার ‘ঘড়ি টাওয়ার’ বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় প্রতিবন্ধকতা। এই স্থাপনার উচ্চতার কারণে অবতরণ কোণ ৩ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ৩.২৫ থেকে ৩.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে যায়। ফলে খারাপ আবহাওয়া বা কম দৃশ্যমানতার সময়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বাড়ে।
এই সমস্যা নিরসনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ঘড়ি টাওয়ারের উচ্চতা ১৭.৫ মিটার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে অবতরণ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও নিরাপদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাইলটের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা হলেও, এটি বিমানবন্দরের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাকেও সামনে নিয়ে এসেছে।