লাহোর থেকে করাচিগামী একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে উঠার কথা ছিল যাত্রী মালিক শাহজাইন আহমেদের। কিন্তু চরম প্রশাসনিক গাফিলতিতে তিনি পৌঁছে যান সৌদি আরবের জেদ্দায়! ৮ জুলাই বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার সিয়ালের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খালিজ টাইমস জানায়, যাত্রীর কাছে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট বা ভিসা না থাকায় তাকে সেদেশে আটক করে পরে ফেরত পাঠানো হয়।
শাহজাইন আহমেদ অভিযোগ করেন, তিনি বোর্ডিংয়ের সময় এয়ারলাইন্স কর্মীদের নিজের টিকিট দেখিয়েছিলেন। তারপরও তাকে ভুল বিমানে তুলে দেওয়া হয় এবং কেউ বিষয়টি জানায়নি। বিমানের উড্ডয়নের দুই ঘণ্টা পরও গন্তব্যে না পৌঁছানোয় তিনি যখন ক্রুদের কাছে প্রশ্ন তোলেন, তখন তারাই বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং বিপাকে পড়েন।
অভিযোগ আরও উঠেছে, বিমানসেবীরা ভুল স্বীকার না করে উল্টো যাত্রীকেই দায়ী করতে থাকেন এবং জানান, তাকে করাচিতে পৌঁছাতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ফেরত পাঠানোর খরচ বহনের দায় এয়ার সিয়াল নেয়নি। বরং করাচির বদলে যাত্রীকে আবার লাহোরেই পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন
এ ঘটনার প্রতিবাদে মালিক শাহজাইন আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে। তিনি ক্ষতিপূরণ দাবি করে বলেছেন, তার বাড়তি যাত্রা খরচ এবং মানসিক ভোগান্তির দায়ভার এয়ার সিয়ালকে নিতে হবে। একইসঙ্গে ঘটনার স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। লাহোর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে ‘চরম অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ বলে উল্লেখ করেছে এবং এয়ার সিয়ালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এই ঘটনা দেশটির বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।