ভারতের আহমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড পরই বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) জানায়, আকাশে ওড়ার মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে পড়ে, যার মূল কারণ ছিল জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের আচমকা স্থানান্তর।
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী ওই ফ্লাইটটিতে পাইলট ও ক্রুসহ ২৪১ জন আরোহী ছিলেন। বিমানটি দুর্ঘটনাক্রমে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর ভেঙে পড়ে, যেখানে সেই সময় ক্যান্টিনে বহু শিক্ষার্থী দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আরও পড়ুন
প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের তিন সেকেন্ডের মাথায় বিমানটির উভয় ইঞ্জিনের ফুয়েল কাট-অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ‘চালু’ (Run) থেকে ‘বন্ধ’ (Cut Off) অবস্থায় চলে যায়। তবে এই সুইচগুলো অজান্তে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করা হয়েছিল, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শোনা যায়, একজন পাইলট অপরজনকে প্রশ্ন করছেন, “আপনি কেন ইঞ্জিনের জ্বালানি বন্ধ করলেন?” যার উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি এমন কিছু করেননি। যদিও এতে পরিষ্কার নয়—প্রশ্নকারী ছিলেন ফার্স্ট অফিসার, নাকি মূল পাইলট।
উল্লেখ্য, তদন্ত প্রতিবেদনে পাইলটদের কথোপকথনের পূর্ণ প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এখনও বাকি রয়েছে। তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।