মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসী তৈয়ব উদ্দিন হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে রাজধানী মালেতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের এক পাশ পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে। এখন একমাত্র চাওয়া—যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে চিকিৎসা গ্রহণ করা। কিন্তু অর্থাভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
৫৪ বছর বয়সি তৈয়ব উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার তুলাতুলি গ্রামের বাসিন্দা। জীবিকার তাগিদে পাঁচ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমান। তবে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই তিনি স্থানীয় বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি কর্মস্থলে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। পরে সহকর্মীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্তমানে মালদ্বীপের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের যাবতীয় খরচ বহন করছেন মালদ্বীপ প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম নামের দুই সহকর্মী। তারা জানিয়েছেন, তৈয়বের তেমন আত্মীয়স্বজন নেই এখানে, ফলে তার দেখভালের দায়িত্ব তাদেরই নিতে হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে খরচ চালানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন
তৈয়ব উদ্দিনের উন্নত চিকিৎসা ও দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মিশনের কল্যাণ সহকারী মো. জসিম উদ্দিন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, নরসিংদীর গ্রামের বাড়িতে তৈয়ব উদ্দিনের পরিবার চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে। তার স্ত্রী হাফেজা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমি দিশেহারা হয়ে গেছি। স্বামীকে দেশে আনার মতো সামর্থ্য নেই। সরকার বা প্রবাসীরা সাহায্য না করলে আমাদের ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।” তৈয়ব ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি—এখন সেই আশাও ম্লান হয়ে গেছে।