পাঞ্জাবের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ছয়জনকে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। ‘অপারেশন ইয়ালঘর’ নামে একটি বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয় এবং একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অস্তিত্বও উদ্ঘাটিত হয়।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সমন্বিতভাবে পরিচালিত এই অভিযানে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল, যা তাদের আটক হওয়ার ফলে নস্যাৎ হয়েছে।
পাঞ্জাবের অতিরিক্ত আইজি (অপারেশনস) শেহজাদা সুলতান জানান, বাহাওয়ালনগর থেকে আসলাম ও আকবর আলী নামে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে, যারা ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) থেকে বিস্ফোরক সংগ্রহ করছিল। তাদের সঙ্গে ‘র’-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মেজর রবীন্দ্র রাঠোর ও ইন্সপেক্টর সিং নিয়মিত যোগাযোগ করছিলেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন
সিটিডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনা ভারতের ‘ধ্বংসাত্মক কৌশল’ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভারতের সরাসরি জড়িত থাকার নতুন প্রমাণ তুলে ধরে। এছাড়া, বাহাওয়ালপুরে একটি মসজিদ এবং রেলস্টেশনে হামলার পরিকল্পনা ছিল সন্দেহভাজনদের, যাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক, ডেটোনেটর, আইইডি, সেফটি ফিউজ ও মানচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী উল্লেখ করেন, গত দুই দশক ধরে ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি বেলুচিস্তানের খুজদারে স্কুলবাসে হামলায় নিহত শিশুদের ঘটনা ভারতের সহায়তায় সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করেন। সিটিডি আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে অডিও কথোপকথনও উদ্ধার হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন টার্গেট হত্যা এবং সংবেদনশীল স্থানে হামলার পরিকল্পনা ছিল।
পাঞ্জাবের অতিরিক্ত আইজি শেহজাদা সুলতান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ভারত পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।”