মালয়েশিয়ায় জাল ভিসা ও ইমিগ্রেশন স্টিকার তৈরিতে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান ইপোহ এবং আশপাশের এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে চক্রের মূলহোতা হিসেবে এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এবং মালয়েশিয়া গেজেটসহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের গোপন নজরদারির ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে আরও আটক হন তিনজন মালয়েশীয় নাগরিক—যার মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী। আটককৃত পাকিস্তানির কাছে কোনো বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট ছিল না।
আরও পড়ুন
অভিযানের সময় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে ১৩টি জাল স্টিকার, একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং একটি প্রিন্টার উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া ভুয়া স্টিকারগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ছয়টি, ভারতের দুটি, আমেরিকার দুটি এবং পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের ভুয়া স্টিকার।
এই সিন্ডিকেট অবৈধ অভিবাসীদের কাছে প্রতিটি জাল স্টিকার ১০০ থেকে ১২০ রিঙ্গিতে বিক্রি করত বলে জানা গেছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ও পাসপোর্ট আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে আরও দুইজন স্থানীয় নাগরিককে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এছাড়া, একই দিন মালুরি ও পেতালিং জায়া এলাকায় চালানো আরেক অভিযানে ধরা পড়েন দুইজন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন স্থানীয় নাগরিক। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০১টি বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল, একটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ ও একটি বিলাসবহুল গাড়ি। তদন্তে জানা গেছে, তারা প্রতিটি ভুয়া ইপিএলকেস ভিজিট পাসের জন্য ১১ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত আদায় করত, যদিও এসব তথ্য ইমিগ্রেশন ডেটাবেজে ছিল না। ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।