২০১৯ সালে শুভসূচনা হয়েছিল তাদের দাম্পত্য জীবনের। সমাজের চোখে ছিল আদর্শ এক পরিবার—সন্তানসহ গড়া সংসার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ভেঙে পড়ে কলহ, সন্দেহ ও দূরত্বে। ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে পারস্পরিক অবিশ্বাস, যা একসময় রূপ নেয় নাটকীয় এক পরিণতিতে।
সংসারে ভালোবাসার অভাব অনুভব করছিলেন স্ত্রী। হয়তো সেই শূন্যতা পূরণ হয়েছিল অন্য এক সম্পর্কে। একদিন সিদ্ধান্ত নেন, সব কিছু পেছনে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে কিছু একান্ত সময় কাটাবেন। তাই গোপনে চলে যান এক হোটেলে।
তবে তার সেই গোপন সম্পর্ক গোপন থাকেনি। অনেকদিন ধরেই সন্দেহ করে আসছিলেন স্বামী। অবশেষে নিশ্চিত হয়ে তিনি সেদিন পুলিশ নিয়ে হাজির হন হোটেলে। হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন স্ত্রী ও তার প্রেমিক। জানালা দিয়ে তাকিয়ে স্ত্রী দেখেন—নিচে উপস্থিত স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোক এবং পুলিশ। মুহূর্তেই আতঙ্ক ও লজ্জা চেপে বসে।
আরও পড়ুন
এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীর মাথা ঘুরে যায়। সমাজের চোখে অপমান, সন্তানের ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য শাস্তির ভয়ে তিনি নেন এক চরম সিদ্ধান্ত—লাফ দেন প্রায় ১২ ফুট উঁচু ছাদ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতের ছপরেলি এলাকায়।
স্থানীয় এক ব্যক্তি পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল দাম্পত্য কলহ। কয়েকবার পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তারা, এমনকি গিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। স্বামী অভিযোগ করেন, স্ত্রী তাকে খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন এবং এখন তিনি নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ঘটনার পর প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে—পরিচয় যাচাই না করেই কীভাবে ঘর ভাড়া দেওয়া হলো, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।