ইন্দোনেশিয়ার লেউতোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বালি দ্বীপে আসা ও যাওয়া করা বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল বা দেরিতে চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, পূর্ব নুসা তেংগারা প্রদেশের মউমেরে শহরের ফ্রান্সিসকাস জেভিয়েরুস সেদা বিমানবন্দর অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জুন) আগ্নেয়গিরিটি প্রথমবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়, যার ফলে আকাশে ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আজ বুধবার (১৮ জুন) সকালেও আবার অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং তখন ১ কিলোমিটার উচ্চতায় ছাই নির্গত হয় বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
আরও পড়ুন
সংস্থাটি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং আশপাশের এলাকাগুলোকে নজরদারিতে রেখেছে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বালি ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে তাদের চারটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। তাদের বাজেট সহযোগী সংস্থা স্কুটও বালি ও পার্শ্ববর্তী লম্বক দ্বীপে যাওয়া ফ্লাইট বাতিল করেছে।
অস্ট্রেলিয়ান বিমান সংস্থা জেটস্টার সকালবেলার বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং জানিয়েছে যে বিকেলের ফ্লাইটগুলোতেও দেরি হতে পারে। জেটস্টার একটি মিডডে ট্রাভেল বুলেটিনে জানিয়েছে, “আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ছাইয়ের মেঘ আজ রাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।” বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ারনাভ ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মউমেরে বিমানবন্দর বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা আভি হাল্লান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি দুটি গ্রাম থেকে বেশ কয়েকটি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নি বলেন, “গ্রামের রাস্তাগুলো ঘন ছাই, কাঁকর ও বালিতে ঢাকা পড়ে গেছে,” তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লেউতোবি লাকি-লাকি সর্বশেষ মে মাসে অগ্নুৎপাত করেছিল।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ার-এ অবস্থিত, যা একটি ভূকম্পনপ্রবণ অঞ্চল এবং এখানে প্রায়ই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্প হয়ে থাকে।