পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির জন্য তাকে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তার বোন আলিমা খান। সম্প্রতি ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোতে অদৃশ্য একটি শক্তি কারসাজি করছে এবং বিচারকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আইনি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে।
আলিমা খানের বক্তব্য অনুযায়ী, এই অদৃশ্য শক্তি ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত হিসেবে তিনটি দাবি তোলে। তবে ইমরান খান সেগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তার বোনের ভাষায়, “তিনি প্রমাণ করেছেন কেন তিনি আপোষহীন এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।”
প্রথম শর্ত ছিল, তিন বছর কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য না করা এবং সম্পূর্ণ নীরব থাকা। ইমরান খান এই প্রস্তাবের উত্তরে বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি তিন মিনিটের জন্যও নীরব থাকব না।” তিনি এই শর্তকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেন।
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় শর্ত ছিল, ২৬তম সাংবিধানিক সংশোধনী গ্রহণ করা, যা পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে বলে সমালোচিত। ইমরান খান তা মানতে রাজি হননি এবং তার সাংবিধানিক অবস্থানে অটল থাকার কথা জানান।
শেষ শর্ত ছিল ২০২৩ সালের ৯ মে’র ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। ইমরান খান তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তার অনুশোচনা করার কিছু নেই। বরং ওই দিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়া ব্যক্তিদেরই ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আলিমা খান আরও জানান, আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত থাকলেও, তার ভাই আপোষহীন মনোভাব নিয়ে ন্যায়বিচারের পক্ষে অটল আছেন। এ বক্তব্য পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।