মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করেছে দেশটির বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (এমসিবিএ)। বিশেষ করে বিদেশি নাগরিকদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট বিভিন্ন পন্থায় ইমিগ্রেশন চেক পেরোনোর চেষ্টা করায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এমসিবিএ-এর বরাতে জানা গেছে, এসব সিন্ডিকেট বিমানবন্দরে আসা বিদেশিদের সামাজিক ভ্রমণ ভিসায় এনে তাদের দীর্ঘ সময় অবস্থানে সহায়তা করে। ‘কাউন্টার-সেটিং’ নামক এক প্রক্রিয়ায় এসব যাত্রী ‘নিরাপদ সংকেত’ পেলে চেকপোস্ট অতিক্রমের চেষ্টা করে। অনেক সময় কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ ও ২-তে প্রায় ৮ হাজার ৭৯৬ জন যাত্রীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকই ছিলেন সবচেয়ে বেশি—৩ হাজার ৬৭৩ জন। এছাড়া পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের নাগরিকদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
তদন্তে উঠে এসেছে, এই বিদেশিরা ভ্রমণকারীর ছদ্মবেশে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করেন। তারা বিশেষভাবে বসার স্থান, চার্জিং পয়েন্ট ও টয়লেট এলাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করেন, যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে থাকতে পারেন। অনেকে আবার চিৎকার, পাসপোর্ট দেখাতে অস্বীকৃতি কিংবা পালানোর চেষ্টার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন।
এমসিবিএ কমান্ডার ইব্রাহিম মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, এসব সিন্ডিকেট বৈধ কার্যক্রমের আড়ালে, যেমন—দক্ষতা প্রশিক্ষণ বা ক্রীড়া ইভেন্টে অংশগ্রহণের অজুহাতে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘এই চক্রগুলো দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনার সুযোগ নিচ্ছে। তাদের দমনে এখন আন্তঃসংস্থাগুলোর সমন্বয় আরও জোরদার করা হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখতে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।