টানা কয়েকদিন ধরে চলা সংঘর্ষ, পাল্টা হামলা ও ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরে ভারত ও পাকিস্তান সাম্প্রতিক এক তে পৌঁছেছে। দুই দেশের সামরিক কর্তৃপক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে এবং যুদ্ধবিরতির মেয়াদও ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে। তবে এই বিরতির মধ্যেও সীমান্তে সংঘর্ষের ক্ষত এখনো স্পষ্ট।
প্রতিবেশী দেশের হামলায় ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে। পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গেছে বলে জানায় কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত গ্রাম, যার ফলে হাজার হাজার পরিবার এখন ঘরহীন অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং তার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় পুঞ্চ, কুপওয়ারা, বারামুলা এবং রাজৌরির মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর গ্রামগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মুর পুঞ্চ জেলায় পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ—সেখানে নিহতদের মধ্যে ১৪ জনই ওই জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন
ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংসদ সদস্য আজাজ জান জানান, পুঞ্চ জেলার ৯০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্তত ৬০টিতে বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “এই অঞ্চলে এত বড় আকারের হামলা আগে দেখা যায়নি। বাড়িগুলোর কাঠামো এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে ভূকম্পনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।”
ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা সরকারের কাছে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া বাড়ির জন্য ১০ লাখ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জন্য ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। অনেকেই এখনও আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মাসির আসলাম ওয়ানি পাকিস্তানি হামলায় ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার জন্য পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে সহায়তা প্রদান করছে রাজ্য সরকার। তিনি আশ্বাস দেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।