কাশ্মিরে নিরাপত্তায় এবার দায়িত্বে থাকবেন ভারতের সাবেক সেনা সদস্যরা

Former indian army personnel will now be in charge of security in kashmir

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি হামলার পর অবশেষে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতির পর নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে ভারত সরকার কাশ্মিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে একটি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।

ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলে এবার দায়িত্ব পালন করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যরা। বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বিষয়টি শনিবার (১৭ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

গত মাসে কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে। ওই ঘটনার জেরে সংঘর্ষে প্রাণ হারান অন্তত ৭০ জন। এই প্রেক্ষাপটে অঞ্চলটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সক্রিয় হয়েছে ভারত সরকার।

জম্মু ও কাশ্মির প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাবেক সেনাসদস্যদের “নন-কমব্যাট্যান্ট স্বেচ্ছাসেবক” হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৪ হাজার সাবেক সেনা সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৩৫ জনের কাছে লাইসেন্সধারী অস্ত্র রয়েছে।

এই সাবেক সেনারা মূলত “স্ট্যাটিক গার্ড” হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সরকার বলছে, তাদের মোতায়েন স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও সমন্বয় সাধনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে কাশ্মিরে প্রায় ৫ লাখ সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই অঞ্চলটি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। ২০১৯ সালে কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর থেকে অঞ্চলটিতে সংঘর্ষ কিছুটা কমলেও সহিংসতা এখনও চলমান।

আরও দেখুন:

 

 

 

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post