বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুলছে। অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে, আগামী কয়েক বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ১২ লাখ শ্রমিক নেবে, যার মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার জন বিনা খরচে যেতে পারবে।
মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল ও মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেওয়ার সঙ্গে একটি যৌথ সভায় মিলিত হবেন, যেখানে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশ সম্পর্ক আরও উন্নত করতে এবং অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানান এবং শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
মালয়েশিয়া আগামী কয়েক বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেবে এবং দেশটিতে সাধারণ শ্রমিকের বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, এই শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে এজেন্সির চেয়ে শ্রমিকদের কল্যাণ এবং কম অভিবাসন খরচকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা আশা করছেন, শ্রমিকরা স্বল্প খরচে নিরাপদে যেতে পারবেন। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে মালয়েশিয়া সরকার আগামী কয়েক বছরে ১২ লাখ শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার বিনা খরচে যেতে পারবে।