ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাচ্ছেন। যারা এখনো রয়েছেন, তারা বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের আশঙ্কায় খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ করছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি অভিযান চালায়, যা থেকে বর্তমান সংঘাতের শুরু। ভারত দাবি করে যে তারা পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’তে হামলা চালিয়েছে, তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে।

গত ২২শে এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভারত এই হামলা চালায়। পাকিস্তান শুরু থেকেই পেহেলগামের হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আরও পড়ুন
পারমাণবিক ক্ষমতাধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান গত শুক্রবার পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন ও গোলা ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। গত প্রায় তিন দশকের মধ্যে এই সংঘাত সবচেয়ে গুরুতর।

সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী অনেক বাসিন্দা তাদের নারী ও শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। অনেকে আবার হামলার আশঙ্কায় নিজেদের গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
উরির একজন বাসিন্দা জানান, তারা জীবনে এত তীব্র গোলাবর্ষণ আগে কখনো দেখেননি। গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে চলে গেছেন, এবং কিছু মানুষ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন।
লাহোরের বাসিন্দারা খাবার, রান্নার গ্যাস এবং ওষুধপত্র সংগ্রহ করছেন। কর্তৃপক্ষ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। মানুষজন তাদের পরিবারের জন্য এক মাসের খাবার মজুদ করছেন।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন, এবং যারা রয়েছেন তারা রাতে গোলাগুলি শুরু হলে বাংকারে আশ্রয় নেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।