পহেলগামে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে সিন্ধু পানি চুক্তির আওতায় জম্মু ও কাশ্মীরের বাঁধ থেকে চেনাব নদীতে পানি ছেড়েছে।
সাধারণত বর্ষাকালে ‘রিজার্ভার ফ্ল্যাশিং’ নামের এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও, এবার ভারত আগেভাগেই তা শুরু করেছে। ভারতের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর ফলে পাকিস্তানে কয়েকদিনের জন্য পানির প্রবাহ বাড়বে, তবে তা গুরুতর নয়। রিজার্ভার খালি হওয়ায় এটি পূরণ হতে সময় লাগবে, তাই এরপরে প্রবাহ কমতে পারে।
চুক্তি অনুযায়ী, ফ্ল্যাশিংয়ের মাধ্যমে পানি ছাড়ার আগে পাকিস্তানকে জানানোর নিয়ম থাকলেও, ভারত এবার তা করেনি। ভারত চুক্তিটিকে ‘আংশিকভাবে স্থগিত’ রেখেছে, তাই ঘোষণা ছাড়াই পানি ছাড়ার এই পদক্ষেপ চুক্তিটির লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন
বাগলিহার বাঁধ একটি ৯০০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা মূলত ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকৃতির। এর পানি ধারণক্ষমতা সীমিত এবং এটি শুধুমাত্র টারবাইন ঘোরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট এই প্রকল্পের মালিক এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ দক্ষিণ হরিয়ানা ও উত্তর হরিয়ানা বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা কিনে থাকে।
রেয়াসি জেলায় অবস্থিত সালাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ৬৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। এখান থেকেও একইভাবে পানি ছাড়া হয়েছে এবং বর্তমানে স্লুইস গেট বন্ধ করে জলাধার ভরা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ঝিলাম নদী থেকে পানি ছাড়ার সম্ভাবনা নেই।