পহেলগাঁও হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। বুধবার রাতে নয়াদিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে নিবন্ধিত বা দেশটি দ্বারা পরিচালিত কোনো বিমান আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। ভারতের জারি করা ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ (NOTAM)-এ এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়, যা বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও এর আগে ভারতের বিমানের জন্য নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। ফলে, উভয় দেশের বিমান চলাচলে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশিয়ানিয়ামুখী পাকিস্তানি ফ্লাইটগুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহার করতে হচ্ছে, যার ফলে সময় ও খরচ দুই-ই বেড়ে গেছে।
পহেলগাঁওয়ে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত ইসলামাবাদকে দায়ী করে আসছে, যদিও পাকিস্তান শুরু থেকেই এতে তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এসেছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত একের পর এক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে—স্থগিত করেছে সিন্ধু নদী জলচুক্তি, বাতিল করেছে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা। এবার আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিল।
আরও পড়ুন
সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান আশঙ্কা করছে যে ভারত যেকোনো সময় সামরিক অভিযান চালাতে পারে। সেই আশঙ্কায় দেশটি তাদের আকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে এবং অনুমতি ছাড়া কোনো বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি বুধবার পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশকে দায়িত্বশীল আচরণ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।