মালয়েশিয়ার পেরাকে অবস্থিত ওয়াই টি ওয়াই নামক একটি স্বনামধন্য গ্লাভস উৎপাদনকারী কোম্পানির পেরাক শাখা পরিদর্শন করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। শনিবারের এই পরিদর্শনে কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট তুয়ান সৈয়দ আলী আল জেফরি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হাইকমিশনারকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।
পরিদর্শনকালে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন। ওয়াই টি ওয়াই কোম্পানি তাদের বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা এবং তাদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের একটি বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে জানানো হয়।
কোম্পানির কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশি কর্মীদের অত্যন্ত পরিশ্রমী, কর্তব্যনিষ্ঠ ও অনুগত হিসেবে উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আবাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোম্পানির গৃহীত পদক্ষেপগুলোও তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছেন এবং তারা বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ এবং কর্মক্ষেত্রে উচ্চমান বজায় রাখার জন্য ওয়াই টি ওয়াই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এবং এ ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেন। মালয়েশিয়ায় কর্মরত সকল বাংলাদেশি কর্মীকে পেশাগত সততা বজায় রাখার পাশাপাশি স্থানীয় আইন ও বিধিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান হাইকমিশনার। একইসঙ্গে, তিনি বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণেরও অনুরোধ করেন।
এই পরিদর্শনের সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি দলও ছিলেন, যারা সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মিনিস্টার (রাজনৈতিক) মোসাম্মৎ শাহানারা মনিকা, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মুহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা মনে করেন, এ ধরনের বৃহৎ ও সুনামধন্য নিয়োগকর্তাদের মূল্যায়ন করা এবং কর্মীদের কাছে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেওয়া ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হলে বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীরা আরও ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারবেন। এটি একদিকে যেমন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, তেমনি দেশে থাকা পরিবারগুলোও স্বস্তি অনুভব করবে। প্রবাসীরা হাইকমিশনারের কাছে এ ধরনের কার্যক্রম আরও জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও দেখুন