ভারতীয় অর্থনীতি ক্রমশ সংকটে পড়ছে, আর তার প্রভাব পড়ছে দুই দেশের সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। ভারতীয় রুপির মান ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বর্তমানে প্রতি ডলারে ৮৫.৫৬ রুপি লেনদেন হচ্ছে, যা ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থার একটি প্রতীক।
এদিকে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধাকা-দিল্লি সম্পর্ক উত্তপ্ত থাকার পর ভারতীয় হাইকমিশন কর্মী প্রত্যাহার এবং সাময়িক ভিসা প্রদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। রেলপথে যাত্রীসেবা সীমিত হওয়ায় ভ্রমণ খাত ও পর্যটনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার প্রধান কারণ চিকিৎসা ও পর্যটন। প্রতিবছর প্রায় ২৪ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান, যা ভারতের স্বাস্থ্য খাতে ১৭ বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ তৈরি করে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে। তবে বাংলাদেশে কাজ করা ভারতীয়দের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ভারতীয় অবৈধভাবে কাজ করছেন, যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন
রুপির পতন ভারতীয় অর্থনীতির নানা সংকটকে সামনে নিয়ে এসেছে। বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি, বাণিজ্য ঘাটতি, এবং বিদেশি বিনিয়োগে পতন সবমিলিয়ে ভারতের অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—দেশটি কি আবারও এক যুগান্তকারী অর্থনৈতিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর নীতি গ্রহণ না করলে ভারতের অর্থনীতি আরও গভীর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর এই অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়ছে। বাণিজ্য, চিকিৎসা, পর্যটন—সবখাতে উভয় দেশই ক্ষতির মুখে। দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।