যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য চুরির অভিযোগে এক ভারতীয় নারী তদন্তের মুখে পড়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অভিযুক্ত ওই নারী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একটি ‘টার্গেট’ স্টোর থেকে প্রায় ১,৩০০ ডলারের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দেড় লাখ) পণ্য চুরি করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা জানান, ওই নারী সাত ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দোকানে ঘোরাফেরা করছিলেন, পণ্য তুলছিলেন এবং মোবাইল ফোনে কিছু যাচাই করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই দোকান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নারীটি পণ্যের মূল্য দিতে চাইলেও কর্মকর্তারা তাকে আটক করে এবং হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যান।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, “আপনার দেশে— ভারতে কি জিনিস চুরি করা বৈধ?” ওই নারী জবাবে বলেন, “আমি এই দেশের নাগরিক নই, এখানেই থাকব না।” পুলিশের ভাষ্যমতে, তার বিরুদ্ধে ‘ফেলোনি’ (গুরুতর অপরাধ) অভিযোগ আনা হচ্ছে, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
আরও পড়ুন
এই ঘটনা নিয়ে ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে অভিবাসন, আইন মেনে চলা এবং প্রবাসী হিসেবে দায়িত্ববোধ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, এমন আচরণ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এক প্রবাসী মন্তব্য করেন, “একজন অতিথি দেশে গিয়ে এভাবে আইন লঙ্ঘন করা পুরো জাতির জন্য লজ্জার বিষয়।”
এদিকে, টার্গেট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় পুলিশ বিভাগ এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে এর আগে টেক্সাসেও আরেক ভারতীয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছিল, যা অভিবাসী সমাজে একইভাবে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। এই ধরনের ঘটনাগুলো প্রবাসে ভারতীয় নাগরিকদের আচরণ ও দেশের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।