যুক্তরাষ্ট্রের চালানো সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। তারা যুদ্ধ নয়, বরং চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন।
প্রতিবাদকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই হামলা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দেশকে এক অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো থেকে মন ঘোরাতে সরকার এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন
লস অ্যাঞ্জেলেসে ফেডারেল ভবনের সামনে “ইরান থেকে হাত সরাও” ও “মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ নয়” স্লোগান দিতে দেখা গেছে শত শত বিক্ষোভকারীকে। এদের মধ্যে অনেকে ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, যারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
নিউইয়র্ক, বস্টন, সান ফ্রান্সিসকো ও ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডসহ আরও অনেক শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। বস্টনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভকারীরা সিটি হল পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। তারা জানান, সাধারণ মানুষ যখন জীবনযাত্রার খরচ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিয়ে সংগ্রামে, তখন কোটি কোটি ডলার ব্যয় হচ্ছে যুদ্ধের পেছনে।
ওরেগন ও ভার্জিনিয়ায় আয়োজিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তে সামরিক হামলার তীব্র সমালোচনা করেন। আয়োজক ও বক্তারা বলেন, জনগণের করের টাকা বিদেশে যুদ্ধ নয়, বরং দেশের ভেতরে কল্যাণমূলক খাতে ব্যয় হওয়া উচিত। তাদের মতে, মার্কিন জনগণের বৃহৎ অংশ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না এবং এই পদক্ষেপ তাদের আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত।