ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে অবস্থান করছিলেন। হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে তিনি এই অভিযানের প্রতিটি ধাপ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রেসিডেন্টের দপ্তর।
হোয়াইট হাউস সূত্র জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে সিচুয়েশন রুমে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা। অভিযানের সময়কার কয়েকটি ছবি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস, যাতে নেতাদের গম্ভীর ও সতর্ক ভঙ্গিতে আলোচনায় অংশ নিতে দেখা যায়।
হামলার কিছুক্ষণ পরই যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানের সামনে এখন দুটি পথ—শান্তির পথে অগ্রসর হওয়া অথবা ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পরবর্তী ধাপ আরও ভয়াবহ হতে পারে।”
আরও পড়ুন
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের একটি স্পষ্ট ও কঠোর বার্তা। আন্তর্জাতিক মহলে এই হামলার বিষয়ে মতভেদ দেখা গেছে। কেউ একে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এ ঘটনার ফলে অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায়।
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য এবং প্রেসিডেন্টের সরাসরি তত্ত্বাবধান হামলার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে যে, তারা প্রয়োজনে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত।