যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা আরও তীব্র হলো। সম্প্রতি ওয়াশিংটন চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের হার আরও এক দফা বৃদ্ধি করেছে। পূর্বে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার পর, এবার তা বৃদ্ধি করে ২৪৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে চীনের ‘প্রতিশোধমূলক কার্যকলাপের’ ফল হিসেবে উল্লেখ করেছে, যার কারণে চীনা পণ্য এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে।
বিশ্বের এই দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ ক্রমশই নতুন রূপ নিচ্ছে। উভয় দেশই একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে এবং এই শুল্ক সংঘাত সেই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। চলতি বছরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এরপর এপ্রিলের শুরুতে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হলে, চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন, যা মোট শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র আরও দুই দফায় শুল্ক বৃদ্ধি করে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করে।
এর জবাবে চীনও দ্রুত পাল্টা পদক্ষেপ নেয় এবং মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করার ঘোষণা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ফের চীনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করলো। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য আমেরিকার অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা।
আরও পড়ুন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫টিরও বেশি দেশ নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং সেই কারণে তাদের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে চীন এই স্থগিতাদেশের বাইরে থাকবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র মনে করে চীন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখন দেখার বিষয়।
আরও দেখুন