ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ-আকাশে একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের সাথে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেলেও, আশ্চর্যজনকভাবে হেলিকপ্টারটি প্রায় অক্ষত রয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও বেশি প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ৬৪ জন যাত্রী ছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ-আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের সাথে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এতে বিমানটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত সামরিক হেলিকপ্টারটি ছিল ইউএস আর্মির ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, যা প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হতো। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটিতে কোনো উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না।
আরও পড়ুন
কানসাস থেকে আসা যাত্রীবাহী বিমানটি মাঝ-আকাশে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সাথে সংঘর্ষের পর ওয়াশিংটনের পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানে ৬৪ জন এবং হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার মাঝ-আকাশে যাত্রীবাহী বিমান এবং একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং ওয়াশিংটন ডিসির কাছে রিগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
সিবিএস নিউজ জানতে পেরেছে যে পিএসএ এয়ারলাইন্সের বোম্বার্ডিয়ার সিআরজে ৭০০ আঞ্চলিক জেট বিমানটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, সিকোরস্কি এইচ-৬০ বিমানে তিনজন সৈন্য ছিলেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ নৌকা এবং ডুবুরিরা জীবিতদের জন্য নদীতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
হোয়াইট হাউস কর্তৃক প্রকাশিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “রিগান জাতীয় বিমানবন্দরে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমাকে সম্পূর্ণ অবহিত করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।