লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে উদ্ধার হওয়া ১৬২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই মানবিক প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়।
ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের মধ্যে ১৪১ জন ছিলেন বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে এবং ১৬ জন ত্রিপলীর তাজুরা সেন্টারে আটক অবস্থায় ছিলেন। এছাড়াও ত্রিপলীতে বিপদের মুখে পড়া আরও ৫ জন বাংলাদেশিকেও দেশে পাঠানো হয়েছে।
আইওএম-এর সহায়তায় চার্টার্ড ফ্লাইট বুরাক এয়ার (UZ222) মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন
ফ্লাইট ছাড়ার সময় দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক মিনিস্টার গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে অভিবাসীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। এ সময় প্রতিনিধি দলটি প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া এবং দূতাবাসের ভূমিকা সম্পর্কে অভিবাসীদের অবহিত করেন।
এর আগে, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বেনগাজী ও ত্রিপলীর সংশ্লিষ্ট ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে সরাসরি বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করেন। লিবিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন এবং আইওএম-এর সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরানো সম্ভব হয়।
দূতাবাস জানায়, এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশিদের কোনো ধরনের আর্থিক ব্যয় হয়নি। ভবিষ্যতেও বিদেশে আটকে পড়া ও বিপদে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফেরাতে দূতাবাসের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।