দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাসির হোসেনের জন্য ঈদ মানেই আনন্দ আর দায়িত্বের মিশ্রণ। ব্যবসার ব্যস্ততা থাকলেও ঈদের প্রস্তুতি নিতে ভোলেন না তিনি। ঈদের নামাজের দিন সকালেই নতুন পাঞ্জাবি-পাজামা পরে বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে চেপে রওনা দেন নামাজের নির্ধারিত মাঠে।
নামাজ শেষে ঘটে প্রবাসী মুসলমানদের চিরচেনা দৃশ্য—কোলাকুলি, সালাম বিনিময় আর শুভেচ্ছা জানানো। এরপরই কাজের জগতে ফিরে যেতে হয় নাসিরকে। খুলতে হয় দোকান। ঈদের অর্ধেক দিন কাটে দোকানের কাউন্টারে বসেই। তবে বাকি দিনটিতে ফিরে আসে কোরবানির প্রস্তুতির ব্যস্ততা।
আগেই কেনা কোরবানির পশু থাকে খামারে। বন্ধুদের সঙ্গে কোরবানি সম্পন্ন করেন নাসির। কোরবানির মাংস তিনভাগ করে নিজের অংশ রেখে বাকি অংশ আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। সন্ধ্যার আগেই শুরু হয় রান্নার প্রস্তুতি। সবাই মিলে বসেন রান্না আর খাওয়াদাওয়ার আনন্দঘন পরিবেশে।
আরও পড়ুন
ঈদের এই ব্যস্ততাপূর্ণ দিন শেষে নাসির ও তার বন্ধুরা কিছুটা অবসর খোঁজেন শহরের আশপাশেই। নিরাপত্তার কথা ভেবে কেপটাউনে খুব দূরে না গেলেও নদীর ধারে বা সমুদ্রতীরে গিয়ে সময় কাটান, কখনো মাছ ধরতেও যান। প্রবাসের সীমাবদ্ধতার মাঝেও এই ক্ষণিকের আনন্দেই ঈদের পূর্ণতা খুঁজে পান তাঁরা।