যাত্রীর খাবারে জীবন্ত ইঁদুর, বিমানের জরুরি অবতরণ

যাত্রীর খাবারে জীবন্ত ইঁদুর, বিমানের জরুরি অবতরণ

খাবারের ঢাকনা খুলতেই লাফিয়ে বেরিয়ে এল আস্ত একটা জীবন্ত ইঁদুর। দেখে চক্ষু চড়কগাছ যাত্রীর। নরওয়ের ওসলো থেকে স্পেনের মালাগা যাওয়ার সময় স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ঘটনা এটি। এই আশ্চর্যজনক আবিষ্কারের পর কোপেনহেগেনে জরুরি ল্যান্ডিং করতে হয়েছিল বিমানটিকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ফ্লাইটে খাবারের পাত্র থেকে ইঁদুর বেরিয়ে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রী। নাম তার জার্লে বোরেস্টাড। এই সময় তার মনের অবস্থাটা ঠিক কী হয়েছিল, সে অভিজ্ঞতাটি তিনি অনলাইনে শেয়ার করে নিয়েছেন। বলেছেন যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও বোর্ডে থাকা সবাই আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ছিলেন। এমনকি ইঁদুরটি তার গায়ের ওপর দিয়ে যাতে যেতে না পারে, ইঁদুরটিকে আটকানোর জন্য রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত কঠোর নিয়ম রয়েছে৷ তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খাবার তৈরি করা উচিত। এমনকি যাতে যথার্থ ভাবে যাতে প্রতিটি কাজ পরিচালনা করা যায় তা নিশ্চিত করার জন্য একজন করে সুপারভাইজার থাকা উচিত। তাদের মতে মূলত দুটি কারণে এই ভুল হলেও হতে পারে। হয় রান্নাঘরে খাবার তৈরির সময় বা বিমানে খাবার পরিবহণের সময় অসাবধানতার কারণে ইঁদুর ঢুকে পড়েছে। যদি স্বাস্থ্যবিধিগুলো যত্ন সহকারে অনুসরণ না করা হয়, তবে এই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি আরও বাড়বে বলে দাবি তার।

এ ঘটনাটিকে খুবই অস্বাভাবিক বলেছে এয়ারলাইন্স। তাদের দাবি, যা ত্রী নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতের সমস্যা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হবে।

ইঁদুর সাধারণত অনেক ক্ষতিকারক জীবাণু বহণ করে। তাই খাবারে জীবন্ত ইঁদুর খুঁজে পাওয়া, গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাদের বিষ্ঠা, প্রস্রাব এবং গায়ের লোমের মাধ্যমে সালমোনেলা, ই. কোলাই এবং হান্টাভাইরাসের মতো রোগ ছড়াতে পারে। ইঁদুর থেকে দূষিত খাবার খাওয়ার পরেই এই অসুস্থতা আসে। যার ফলে পেটের সমস্যা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে কিডনি ফেল, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post