বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের আস্থার যায়গা হওয়ার কথা থাকলেও নানা সময়ে এই দূতাবাসই প্রবাসীদের জন্য আতঙ্কের যায়গা হয়ে সামনে এসেছে। ভিসা বাণিজ্য, দুর্নীতি এবং কখনো কখনো প্রবাসীদের হয়রানির প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে এগুলো। ফলে সরকার পতনের পর দূতাবাসের দুর্নীতি বন্ধের দাবি আরও জোরালো হয়।
এরইমধ্যে কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশনে নিযুক্ত বিতর্কিত দুই নারী কাউন্সিলর অপর্ণা পাল এবং মিথিলা ফারজানার চুক্তি বাতিল হয়েছে। দেশে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ছয় রাষ্ট্রদূতকে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শিগগির সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ওমানের মাস্কাটে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকেও। ভিসা বন্ধ, যথাযথ কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন
বেশ কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সবথেকে আলোচিত-সমালোচিত কুয়েত দূতাবাস। সম্প্রতি কর্মকর্তাদের জুয়ার আসরে সময় কাটানোর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আবারও সমালোচনা জোরদার হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদূত, দূতালয় প্রধান, কল্যাণ সহকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উল্টো খবর প্রকাশের জেরে সংবাদ মাধ্যমের প্রবাসী প্রতিনিধিদের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করা হয়।
এসব কারণেই দূতাবাস-হাইকমিশনে কর্মরত অসৎ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।