গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনিদের জন্য আকাশপথে ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা বিশেষ কার্গো বিমানের মাধ্যমে প্যারাস্যুটে করে ত্রাণ সামগ্রী ফেলে দেবে—এই কার্যক্রমে অনুমতি দিচ্ছে ইসরায়েল। তবে এ ত্রাণ কার্যক্রম শুধু আকাশপথেই পরিচালিত হবে; কোনোভাবেই স্থলপথে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) থেকেই জর্ডানের পক্ষ থেকে এয়ারড্রপ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
তবে অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ সবসময় নিরাপদ নয়। গত বছর এমন একটি অভিযানে প্যারাস্যুটে করে পড়া ত্রাণ বস্তা মাথায় পড়ে গাজায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। সাধারণত এসব ত্রাণ সমুদ্র সৈকত বা খোলা স্থানে ফেলা হয়, কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকলে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যায়।
আরও পড়ুন
এরই মধ্যে গাজায় টানা ২১ মাসের ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক অভিযানে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ ও বহু মানবাধিকার সংস্থা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। শুধু মে মাসেই খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বিশ্বের ১১৫টি মানবাধিকার ও ত্রাণ সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সহকর্মী এবং নিরীহ মানুষদের “ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে” দেখছে। ইসরায়েলের ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার নীতিকে তারা ‘নিষ্ঠুর’ বলে আখ্যা দিয়েছে।