ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলায় এক ভণ্ড ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক নিরাময়ের নামে গ্রামবাসীদের ওপর ভয়াবহ ও অবমাননাকর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সঞ্জয় পাগাড়ে নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী দাবি করে মন্দিরে বসে ‘ভক্তদের’ ওপর চালাতেন নানা রকম নিষ্ঠুরতা।
সঞ্জয় পাগাড়ে দাবি করতেন, তার ‘অঘোরী সাধনা’ ভূত তাড়ানো, অবিবাহিতদের বিয়ে দেওয়া এবং নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভের পথ খুলে দিতে পারে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির আড়ালে তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভক্তদের মুখে জুতো গুঁজে দেওয়া, গাছের পাতা খাওয়ানো এবং লাঠি দিয়ে মারধরের মতো অমানবিক আচরণ করতেন। এমনকি কখনও কখনও তাদের নিজের প্রস্রাব পান করতেও বাধ্য করাতেন।
এই ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা প্রথম ফাঁস হয় একটি কুসংস্কারবিরোধী সংগঠনের গোপন স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে। গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, পাগাড়ে এক ব্যক্তির মুখের ওপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্য এক দৃশ্যে তাকে নারী-পুরুষ উভয়কে লাঠি দিয়ে পেটাতে দেখা গেছে, যা তিনি ‘নিরাময়’ প্রক্রিয়ার অংশ বলে দাবি করতেন।
আরও পড়ুন
স্টিং অপারেশনের পর এনডিটিভির হাতে আসা ভিডিওগুলোতে স্পষ্ট বোঝা যায়, কীভাবে ধর্মের নামে নিরীহ মানুষদের প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার করা হচ্ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এসব ফুটেজ পৌঁছানোর পর ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রজুড়ে।
মানবাধিকারকর্মী ও সমাজ সচেতন মহল দ্রুত এই ‘বাবা’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেন, এমন প্রতারকরা ধর্ম ও বিশ্বাসের অপব্যবহার করে সমাজে কুসংস্কার ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।