ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে র্যাগিংয়ের নামে নবীন সদস্যদের ওপর যৌন নিপীড়নের গুরুতর অভিযোগে সাত সিনিয়র সৈন্যকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিন-দুদিন নয়, বরং কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছে এই অমানবিক ও নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড। খবর দিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর অ্যারো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটে নিয়োজিত ওই সাত সেনাকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা নবীন সদস্যদের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন হয়রানি এবং পায়ুকামের মতো জঘন্য কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) জানিয়েছে, ১৩৬তম এয়ার ডিফেন্স ব্যাটালিয়নের মধ্যে একটি অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় এই বর্বরতা শুরু হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিনিয়র সৈন্যরা ইউনিটের অন্তত ১০ জন নবীন সদস্যের ওপর একাধিকবার এসব নির্যাতন চালান।
আরও পড়ুন
মিলিটারি পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তরা অ্যারো-২ ও অ্যারো-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তদন্তে আরও জানা যায়, নবীনদের ওপর ভয়ভীতি দেখানো, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই বিস্তারিত মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এমন ঘটনা বরদাশত করা হবে না এবং জড়িতদের কঠোরভাবে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সহিংসতা ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং বাহিনীর মর্যাদা রক্ষায় কোনো আপস করা হবে না।