ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি র পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। যদিও মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন, তবে খামেনির নীরবতা নিয়ে ইরানি জনগণের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে।
ইরানের রাজনৈতিক বাস্তবতায় খামেনির বক্তব্যকেই চূড়ান্ত নির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে তিনি এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বলায় আন্তর্জাতিক মহলও অপেক্ষা করছে তার অবস্থান জানার জন্য। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে তিনি তেহরানের নিয়মিত বাসভবনে না থেকে একটি সুরক্ষিত বাংকারে অবস্থান করছেন, যদিও ইরান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।
সর্বশেষ গত ১৮ জুন খামেনির পূর্বে ধারণ করা একটি ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়, যেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। এ ভিডিওর পর থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বা কোনো বক্তব্যও শোনা যায়নি।
আরও পড়ুন
এদিকে, সোমবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এর পরদিন উভয় দেশ এ বিষয়টি নিশ্চিত করলেও পরে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানান যেন ইরানে আর কোনো বোমা না ফেলা হয় এবং যুদ্ধবিমানগুলো ফিরিয়ে আনা হয়। যুদ্ধবিরতির বাস্তব প্রয়োগ ও খামেনির আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখন পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।