ভয়াবহ একটি রাত পার করল কাতারের নাগরিক ও প্রবাসী বাসিন্দারা। গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধ নিতে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। হামলার পরপরই কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে আগুনের গোলা দেখা যায় ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে কিছু সময়ের জন্য জনজীবন পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ে, আতঙ্ক ছড়ায় চারিদিকে।
যদিও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি কয়েক দফা পুনর্ব্যক্ত করেছিল তেহরান। বিশেষ করে আল-উদেইদ ঘাঁটি দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের নজরদারিতে ছিল এবং তেহরান আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
বিস্ময়কর হলেও রাতেই এ হামলাকে ‘দুর্বল’ হিসেবে অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগাম সতর্কতা দেওয়ায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার ভোরে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ইরান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তবে তার এ ঘোষণার কয়েক মিনিট পর ইরানের রাজধানী তেহরানে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাল্টা জবাবে দক্ষিণ ইসরায়েলের বিয়ার শেভা শহরে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে অন্তত ৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
সবশেষ টানা প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতের পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম যুদ্ধবিরতি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে সময় ও শর্ত নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।