নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মালয়েশিয়া ফেরত এক যুবকের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের স্বল্প দশাল গ্রামের বাসিন্দা এবং সুলতান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী রাব্বি (২৫), একই এলাকার হেলাল মিয়ার ছেলে, দেশে ফেরার পর থেকে ভুক্তভোগী নারীর মোবাইলে বারবার অশালীন প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। অবশেষে ১৬ জুন রাতে অভিযুক্ত রাব্বি জোরপূর্বক ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ছুরি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী।
ধর্ষণের পর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ভুক্তভোগীর স্বামী সুলতান মিয়া রাব্বিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাটি জানতে পারেন। এ ঘটনায় ১৮ জুন নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নম্বর— নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং ২২২।
আরও পড়ুন
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, “রাব্বি দেশে আসার পর থেকেই আমাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। ওই রাতে ঘরে ঢুকে সে আমাকে ছুরি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। এখন আমার স্বামী আমাকে গ্রহণ করতে চাইছে না। রাব্বির পরিবার বলেছিল চার লাখ টাকা দেবে, কিন্তু পরে আর কোনো খোঁজ নেয়নি।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত রাব্বির বাবা হেলাল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি সুলতান মিয়ার সাজানো নাটক। তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন, যা দিতে না পারায় এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, তার ছেলে রাব্বি বর্তমানে পলাতক এবং তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
উল্লেখ্য, রাব্বির বাবা হেলাল মিয়ার বিরুদ্ধেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১৩ সালের একটি মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। মামলার নম্বর— নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং ৩৬৫।