রোববার ভোরে ভারতের লখনউ বিমানবন্দরে জেদ্দা থেকে আসা সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। অবতরণের পরপরই বিমানটির চাকায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধোঁয়া দেখা যাওয়ায় বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। হজ শেষে হজযাত্রীদের নিয়ে আসা এসভি-৩১১২ ফ্লাইটটি শনিবার রাতে জেদ্দা থেকে রওয়ানা দিয়েছিল এবং লখনউতে অবতরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বিভ্রাট ঘটে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হাইড্রলিক তরল পদার্থের লিকের কারণে বিমানের চাকার অংশে অতিরিক্ত উত্তাপ তৈরি হয়েছিল, যার ফলেই ধোঁয়া ও অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ত্রুটি যদি উড্ডয়নের সময় প্রকাশ পেত, তাহলে তা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত। সৌভাগ্যবশত, বিমানটি হজযাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনার পরই এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এরপর খালি অবস্থায় এটি সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
কয়েক দিন আগেই গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর লখনউতে সৌদি এয়ারলাইন্সের এই ঘটনা বিমান চলাচল নিরাপত্তা সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় ২৪১ যাত্রী এবং মাটিতে থাকা আরও ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে পরপর দুটি ঘটনা জনমনে বিমান যাত্রা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন
তবে সুখবর হলো, লখনউ বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপক ও নিরাপত্তাকর্মীরা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয় এবং বিমানের সকল যাত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে রানওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে বিমানের কারিগরি পরিদর্শন শুরু হয়েছে। যদিও সৌদি এয়ারলাইন্স এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ও কঠোর কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি, অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা বিমান শিল্পে অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।