সিলেটের ওসমানীনগরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহবাব হোসেন ওরফে আহবাবুলের (৪০) বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হামলার ঘটনায় পরদিন শুক্রবার প্রবাসীর স্ত্রী ডলি বেগম (৫৩) বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৪৫ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটক ১৫ জনের মধ্যে চারজনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আহবাবুলের বাবা চেরাগ আলীসহ কয়েকজনের একটি জুয়া খেলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী গোলাম রব্বানী সোহেলের ওপর সন্দেহ করা হয়। এরপর বিকেল ৩টার দিকে খাদিমপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের মাইকে সোহেলের বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে শতাধিক লোক তার বাড়িতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন
হামলাকারীরা বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র, রিকশা, থাই গ্লাস, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থসহ প্রায় ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গেলে মসজিদের মাইকে আবারও ঘোষণা দিয়ে আরও লোক জড়ো করা হয় এবং পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে সিলেট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা আহবাবুল বলেন, হামলার নেতৃত্ব দেন গ্রামবাসীরা, তিনি শুধু উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে প্রবাসী সোহেল অভিযোগ করেন, ভিডিও ভাইরালের প্রতিশোধ নিতে তার বাড়িতে সরাসরি যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা হয়। উপজেলা যুবদল সভাপতি ফজল আহমদ জনি জানান, এ ঘটনায় দল জড়িত নয়, এটি আহবাবুলের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড।
এ প্রসঙ্গে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, হামলার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।