ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সম্প্রতি এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে, যা বিমান যাত্রী ও সহকর্মীদের চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। সান ফ্রান্সিসকো থেকে হিথরো যাওয়ার পথে এক কেবিন ক্রুকে তার ডিউটির সময় অনুপস্থিত দেখতে পেয়ে সহকর্মীরা খোঁজ করতে গিয়ে তাকে বিমানের বাথরুমে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় নাচতে দেখে হতবাক হন।
ঘটনাটি ঘটে যখন বিমানটি ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে উড়ছিল। ফ্লাইট ক্রুদের একজন জানান, ওই কর্মী হয়তো কোনো অজ্ঞাত ট্যাবলেট বা ওষুধ সেবনের কারণে এমন আচরণ করেছিলেন। দ্রুত ফার্স্ট ক্লাস থেকে একটি পায়জামা এনে তাকে ঢেকে বাথরুম থেকে বের করে ফার্স্ট ক্লাসের একটি পৃথক কক্ষে অবরুদ্ধ রাখা হয়। পুরো ফ্লাইটজুড়ে—প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা—তিনি সেখানে অবস্থান করেন।
বিমানটি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওই কেবিন ক্রুকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে হুইলচেয়ারে করে নামানো হয় এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সাময়িকভাবে ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি বিতর্কে জড়িয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তাদের আরেক কেবিন ক্রু, ২১ বছর বয়সী শার্লট মে লি, শ্রীলঙ্কায় গাঁজা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। ব্যাঙ্কক থেকে কলম্বো যাওয়ার পথে প্রায় ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের গাঁজা বহনের অভিযোগে তিনি এখন দেশটির আদালতে বিচারাধীন।
এই দুটি ঘটনা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সুনাম এবং নিরাপত্তা নীতিমালাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সংস্থাটি যদিও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, তবে আকাশপথে যাত্রী নিরাপত্তা ও ক্রুদের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।