বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব মিলবে যেসব দেশের!

Countries where you can get citizenship by marriage!

জন্মসূত্রে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া স্বাভাবিক, তবে আধুনিক জীবনের সুযোগ-সন্ধানে অনেকেই দ্বিতীয় দেশের নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ভিনদেশি কাউকে বিয়ে করার মাধ্যমে অনেক দেশেই নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ খুলে যায়। আগে যেখানে চিঠি ছিল সম্পর্কের মাধ্যম, আজ প্রযুক্তি সেই দূরত্ব ঘোচাতে ভূমিকা রাখছে। পড়াশোনা, চাকরি বা ভ্রমণের সূত্রে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্ক পরিণত হচ্ছে বিয়েতে—আর সেই বিয়ের মাধ্যমেই মিলছে নাগরিকত্বের সুযোগ।

কিছু দেশ এই প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে। আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ড-এর ক্ষেত্রে, দেশটির নাগরিককে বিয়ে করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়—কোনো অপেক্ষা বা বসবাসের শর্ত ছাড়াই। প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও দ্রুত।

স্পেন-এর নাগরিককে বিয়ের পর এক বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা সম্ভব। এখানে স্প্যানিশ ভাষা ও সংস্কৃতির মৌলিক জ্ঞান থাকলে তা বাড়তি সুবিধা দেয়। একইভাবে, আর্জেন্টিনার নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পরেই আবেদন করা যায়।

মেক্সিকো নাগরিকত্বের ক্ষেত্রেও রয়েছে দু’বছর একসঙ্গে থাকার শর্ত। স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান এবং বৈধ বিয়ের কাগজপত্র থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ। আর তুরস্কে তিন বছর বৈধ বৈবাহিক সম্পর্কের প্রমাণ থাকলেই আবেদন করা যায়, ভাষা বা সংস্কৃতিগত শর্ত ছাড়াই।

অন্যদিকে, ইউরোপের কঠোর নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম হলেও, বৈধ বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। সেখানে তিন বছর একসঙ্গে বসবাস ও পাঁচ বছর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার শর্তে আবেদন করা যায়। ছয় বছরের বিবাহিত জীবন থাকলে, বিদেশে থেকেও আবেদন করা সম্ভব। তবে ভাষাজ্ঞান, সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা ও অপরাধমুক্ত থাকার প্রমাণ দিতে হয়।

এইসব দেশ বৈধ সম্পর্ক ও কিছু শর্ত পূরণের মাধ্যমে দ্বৈত নাগরিকত্ব অর্জনের বাস্তব সুযোগ করে দিয়েছে, যা অনেকের জন্য হতে পারে নতুন জীবনের দ্বার।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post