নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও প্রবাসজীবনের জটিলতার মধ্যেও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা সহজতর করে তুলেছে এক্সপ্যাট সার্ভিস (ইএসকেএল)। দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছ সেবার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে ইএসকেএলের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু হয়, যা বর্তমানে একটি ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন
প্রবাসীরা জানিয়েছেন, ইএসকেএলের সার্ভিস হাইকমিশনের তুলনায় অনেক দ্রুত ও সহজ। সেখানে কোনো দালাল বা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। আধুনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া, যেখানে হাইকমিশনের সনাতন পদ্ধতি প্রবাসীদের অনেক সময় ও কষ্টের মুখে ফেলে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ হাজার প্রবাসী এই সেবার আওতায় এসেছেন, যার মধ্যে গত তিন মাসেই প্রায় ২২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ উঠেছে—হাইকমিশনের দীর্ঘসূত্রিতা ও দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে প্রয়োজনীয় কনস্যুলার সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রবাসীদের অসন্তোষ রেমিট্যান্স হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি।
এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, আবেদনকারীরা নির্দিষ্ট অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে আবেদন করেন এবং সকল কার্যক্রম একই ছাদের নিচে সম্পন্ন হয়। ওয়ানস্টপ সার্ভিস শুধুমাত্র আবেদন সংগ্রহ করে, পরবর্তী ধাপগুলো পরিচালনা করে বাংলাদেশ হাইকমিশন। তিনি বলেন, ওয়ানস্টপ সার্ভিস সম্পর্কে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হলেও, প্রকৃত তথ্য যাচাই করেই প্রবাসীদের সেবা গ্রহণ করা উচিত। ঈদের ছুটি শেষে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা চালু থাকবে বলেও জানান তিনি।