ঈদুল আযহা উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন আমিরাতের শাসকদের উদার ঘোষণার ভিত্তিতে দেশটির বিভিন্ন কারাগার ও সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ২,৪৯৯ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী। এদের মধ্যে আছেন নাগরিক, প্রবাসী এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
রাষ্ট্রপতি ও আবুধাবির শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান মানবিক বিবেচনায় ৯৬৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এসব বন্দীর বিরুদ্ধে থাকা আর্থিক দায়দায়িত্ব পরিশোধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, যাতে তারা বাধাহীনভাবে মুক্তি পেতে পারেন।
দুবাইয়ের শাসক, আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম দুবাইয়ের সংশোধনাগার থেকে ৯৮৫ জন বিভিন্ন দেশের বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দুবাইয়ের পাবলিক প্রসিকিউটর এসাম ইসা আল হুমাইদান জানিয়েছেন, পুলিশ ও প্রসিকিউশন বিভাগ যৌথভাবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া শারজাহর শাসক ড. শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাসিমি তার আমিরাতের সংশোধনাগার থেকে ৪৩৯ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তের জন্য শারজাহ পুলিশের কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ মুবারক শাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ফুজাইরার শাসক শেখ হামাদ বিন মোহাম্মদ আল শারকি ফুজাইরার সংশোধনাগার থেকে ১১২ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন। ফুজাইরা পুলিশের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আহমেদ এই সিদ্ধান্তকে একটি সহানুভূতিশীল উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যা বন্দীদের জীবন বদলে দিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদ উপলক্ষে বন্দীদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন একটি বার্ষিক ঐতিহ্য। এটি সমাজে ক্ষমা, সহমর্মিতা এবং পারিবারিক বন্ধন জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।