ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ হিসেবে অনশন শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির আটজন শিক্ষার্থী। ২৭ মে থেকে তারা এই অনশন পালন করছেন। একইসঙ্গে তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েল ও ইসরায়েল-ঘনিষ্ঠ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল ও টিউশন ফি যেন কোনোভাবে গাজায় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন বা সহিংসতা সমর্থন না করে—এটি নিশ্চিত করতেই তারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ভাষায়, “আমরা চাই না আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় উপনিবেশবাদ নিয়ে গবেষণা করেও বাস্তবে সেই নিপীড়নের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হোক।”
আরও পড়ুন
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি—ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান বা সে-সম্পর্কিত খাতে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ কতটা। এই অস্বচ্ছতাকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি দীর্ঘদিন ধরেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, অতীতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় অনেক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক প্রশাসনিক চাপ ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। প্রশাসনের এই আচরণ গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।
এই অনশন শুধু গাজায় যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানবিক ও নৈতিক বিনিয়োগ চর্চার দাবি হিসেবেও দেখছেন বিশ্লেষকরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন ইসরায়েল-ঘনিষ্ঠ বিনিয়োগ থেকে নিজেদের গুটিয়ে না নেবে, ততদিন তাদের অনশন অব্যাহত থাকবে।