চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের আব্দুল হামিদ সাত বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে, পরিবারকে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সন্তানকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিতে। ওষুধের দোকানে চাকরি করে গড়ে তুলেছিলেন সচ্ছল জীবন। কিন্তু হঠাৎ করেই নেমে আসে অন্ধকার। মরণব্যাধি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
সৌদি আরবে থাকাকালীন পিঠে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। সেখানকার চিকিৎসায় কোনো উন্নতি না হওয়ায় দেশে ফিরে আসেন চিকিৎসার জন্য। একাধিক হাসপাতালে ঘুরে জানতে পারেন, তার দুটি কিডনিই পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। এখন ঢাকার ইনসাফ বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে তাকে, যার প্রতিবারের খরচ ৪-৫ হাজার টাকা। মাসিক ব্যয় দাঁড়ায় কয়েক লাখ টাকায়। বাঁচতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, যার জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা দরকার।
হামিদের শ্বশুর মো. পারভেজ জানান, এত বিপুল অর্থ জোগাড় করা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সমাজের হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা কামনা করছেন। আব্দুল হামিদ নিজেও কান্নাভেজা কণ্ঠে জানিয়েছেন, “আমার ছোট ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁচতে চাই। জানি না কী হবে, কিন্তু যদি সমাজের মানুষ পাশে দাঁড়ায়, তাহলে হয়তো আবার সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।”
আরও পড়ুন
হামিদের প্রতিবেশী মো. ফারুক বলেন, “ওর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে এখন বিপুল টাকা প্রয়োজন। একা পক্ষে সম্ভব না, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে সে আবার আমাদের মাঝে ফিরতে পারবে।” ছদাহা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান জানান, “হামিদ খুব পরিশ্রমী এবং ভদ্র ছেলে। আজ সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমি নিজেও তাকে সাহায্য করেছি। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ, এই ছেলেটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।