কুমিল্লার লালমাই উপজেলার কাপাসতলা গ্রামে সৌদি প্রবাসী আরিফুর রহমানের পরিবারের চলাচলের একমাত্র ইটের সলিং রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী। ফলে গত ১২ দিন ধরে ওই পরিবারের ১১ জন সদস্য অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবারটি লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী আরিফুর রহমান জানান, তিনি সৌদি আরব প্রবাসী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে দেশে অর্থ পাঠান। দেশে এসে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় প্রতিবেশী সামছল হক সামা প্রথমে চলাচলের রাস্তায় গর্ত করে ময়লা ও আবর্জনা ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরে ১৫ মে টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। এতে তার সন্তানরা মাদরাসায় যেতে পারছে না, পরিবারটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
অপর এক ভুক্তভোগী, কৃষক আবুল খায়ের বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরের ব্যবহৃত রাস্তা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছেন না। তার আশঙ্কা, মৃত্যুর পর জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থাও করা সম্ভব হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, সামছল হক অর্থবলের জোরে চলাচলের ঐতিহ্যবাহী রাস্তাটি নিজের নামে কিনে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
অভিযুক্ত সামছল হক সামা দাবি করেন, তিনি এক শতক ৬৯ পয়েন্ট জমি তার মামাতো বোন পারভিন থেকে পানি নিষ্কাশনের সুবিধার জন্য ক্রয় করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, কয়েকদিন আগে তিনি নিজেই রাস্তার দুই পাশে টিনের বেড়া দিয়েছেন, কারণ প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার পরিবারের জগড়া হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে লালমাই উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ তদন্তে নেমেছে। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, প্রবাসীর মেসেজ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয় এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রী খীসা জানান, কোনো ব্যক্তির চলাচলের পথ বন্ধ করার সুযোগ নেই। অবরুদ্ধ পরিবারকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।